Sunday 2 February 2014

বাড়তে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রবণতা

বাড়তে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রবণতা
 1  1 Google +0  0  0  0
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০২: পুঁজিবাজারের গত দুই মাসের আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ শেয়ার দরের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলো রয়েছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে। অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশের আওতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে ফায়দা হাসিলে সক্রিয় হচ্ছে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের ফাঁদ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং শুরু হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং বা কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম ফাঁসের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা আবারো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদনের তথ্য আগাম ঘোষণার মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে ওঠে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী।ক কেননা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক হিসাব ক্লোজ হয়েছে। আর এসব তথ্য প্রকাশের আগেই বাজারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুজব।

ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলনামূলক খারাপ ছিল। তবে এ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো থাকবে এ ধরনের গুজব ইতিমধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছেন অনেকে।

তাদের মতে, অধিকাংশ সময় এ ধরনের আগাম তথ্য সত্য হয়। তাই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূলত শুরুতে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যম লাভবান হলেও এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চরম মূল্য দিতে হয়- এমনটি মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজব সম্পর্কে অসচেতন। এছাড়া শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কিন্তু তারা কম সময়ে অধিক মুনাফা প্রত্যাশী। যে কারণে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় কারসাজি চক্র।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং রোধে কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনতে পারে না। পাশাপাশি আগাম তথ্যগুলো অতি দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তাই কারা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা বের করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া এ ধরনের লেনদেনে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবরই উদাসীন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই এ লেনদেন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের লেনদেন থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানিকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন বাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারনিউজ২৪/এ/আআ/২০০৫ঘ.
- See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=52&news_id=38032#sthash.raAMcEnM.dpuf
বাড়তে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রবণতা
 1  1 Google +0  0  0  0
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০২: পুঁজিবাজারের গত দুই মাসের আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ শেয়ার দরের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলো রয়েছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে। অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশের আওতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে ফায়দা হাসিলে সক্রিয় হচ্ছে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের ফাঁদ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং শুরু হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং বা কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম ফাঁসের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা আবারো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদনের তথ্য আগাম ঘোষণার মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে ওঠে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী।ক কেননা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক হিসাব ক্লোজ হয়েছে। আর এসব তথ্য প্রকাশের আগেই বাজারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুজব।

ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলনামূলক খারাপ ছিল। তবে এ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো থাকবে এ ধরনের গুজব ইতিমধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছেন অনেকে।

তাদের মতে, অধিকাংশ সময় এ ধরনের আগাম তথ্য সত্য হয়। তাই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূলত শুরুতে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যম লাভবান হলেও এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চরম মূল্য দিতে হয়- এমনটি মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজব সম্পর্কে অসচেতন। এছাড়া শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কিন্তু তারা কম সময়ে অধিক মুনাফা প্রত্যাশী। যে কারণে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় কারসাজি চক্র।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং রোধে কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনতে পারে না। পাশাপাশি আগাম তথ্যগুলো অতি দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তাই কারা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা বের করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া এ ধরনের লেনদেনে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবরই উদাসীন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই এ লেনদেন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের লেনদেন থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানিকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন বাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারনিউজ২৪/এ/আআ/২০০৫ঘ.
- See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=52&news_id=38032#sthash.raAMcEnM.dpuf
বাড়তে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রবণতা
 1  1 Google +0  0  0  0
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০২: পুঁজিবাজারের গত দুই মাসের আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ শেয়ার দরের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলো রয়েছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে। অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশের আওতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে ফায়দা হাসিলে সক্রিয় হচ্ছে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের ফাঁদ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং শুরু হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং বা কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম ফাঁসের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা আবারো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদনের তথ্য আগাম ঘোষণার মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে ওঠে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী।ক কেননা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক হিসাব ক্লোজ হয়েছে। আর এসব তথ্য প্রকাশের আগেই বাজারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুজব।

ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলনামূলক খারাপ ছিল। তবে এ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো থাকবে এ ধরনের গুজব ইতিমধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছেন অনেকে।

তাদের মতে, অধিকাংশ সময় এ ধরনের আগাম তথ্য সত্য হয়। তাই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূলত শুরুতে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যম লাভবান হলেও এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চরম মূল্য দিতে হয়- এমনটি মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজব সম্পর্কে অসচেতন। এছাড়া শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কিন্তু তারা কম সময়ে অধিক মুনাফা প্রত্যাশী। যে কারণে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় কারসাজি চক্র।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং রোধে কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনতে পারে না। পাশাপাশি আগাম তথ্যগুলো অতি দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তাই কারা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা বের করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া এ ধরনের লেনদেনে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবরই উদাসীন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই এ লেনদেন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের লেনদেন থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানিকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন বাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারনিউজ২৪/এ/আআ/২০০৫ঘ.
- See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=52&news_id=38032#sthash.raAMcEnM.dpuf
বাড়তে পারে ইনসাইডার ট্রেডিং প্রবণতা
 1  1 Google +0  0  0  0
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০২: পুঁজিবাজারের গত দুই মাসের আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ শেয়ার দরের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলো রয়েছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে। অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশের আওতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে ফায়দা হাসিলে সক্রিয় হচ্ছে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের ফাঁদ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং শুরু হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং বা কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম ফাঁসের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা আবারো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদনের তথ্য আগাম ঘোষণার মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে ওঠে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী।ক কেননা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক হিসাব ক্লোজ হয়েছে। আর এসব তথ্য প্রকাশের আগেই বাজারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুজব।

ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলনামূলক খারাপ ছিল। তবে এ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো থাকবে এ ধরনের গুজব ইতিমধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছেন অনেকে।

তাদের মতে, অধিকাংশ সময় এ ধরনের আগাম তথ্য সত্য হয়। তাই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূলত শুরুতে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যম লাভবান হলেও এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চরম মূল্য দিতে হয়- এমনটি মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজব সম্পর্কে অসচেতন। এছাড়া শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কিন্তু তারা কম সময়ে অধিক মুনাফা প্রত্যাশী। যে কারণে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় কারসাজি চক্র।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং রোধে কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনতে পারে না। পাশাপাশি আগাম তথ্যগুলো অতি দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তাই কারা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা বের করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া এ ধরনের লেনদেনে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবরই উদাসীন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই এ লেনদেন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের লেনদেন থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানিকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন বাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারনিউজ২৪/এ/আআ/২০০৫ঘ.
- See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=52&news_id=38032#sthash.
 
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০২: পুঁজিবাজারের গত দুই মাসের আচরণ অনেকটাই স্বাভাবিক। অধিকাংশ শেয়ার দরের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। ডিসেম্বর ক্লোজিং কোম্পানিগুলো রয়েছে ডিভিডেন্ড ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে। অন্যদিকে ডিসেম্বর শেষে প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশের আওতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কোম্পানি প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ সুযোগে ফায়দা হাসিলে সক্রিয় হচ্ছে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী। ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে লাভবান হতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সুবিধাভোগী বিনিয়োগকারীদের ফাঁদ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং শুরু হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।


বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং বা কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগাম ফাঁসের মাধ্যমে স্বার্থ হাসিলের পাঁয়তারা আবারো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জুন ক্লোজিংয়ের পর বিভিন্ন কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদনের তথ্য আগাম ঘোষণার মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের চক্রান্তে মেতে ওঠে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী।ক কেননা বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ইতিমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের অর্ধবার্ষিক হিসাব ক্লোজ হয়েছে। আর এসব তথ্য প্রকাশের আগেই বাজারে এ নিয়ে শুরু হয়েছে গুজব।

ব্যাংকগুলোর প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন তুলনামূলক খারাপ ছিল। তবে এ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর অবস্থান ভালো থাকবে এ ধরনের গুজব ইতিমধ্যে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ গুজবের ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে শুরু করেছেন অনেকে।

তাদের মতে, অধিকাংশ সময় এ ধরনের আগাম তথ্য সত্য হয়। তাই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূলত শুরুতে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের মাধ্যম লাভবান হলেও এক সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের চরম মূল্য দিতে হয়- এমনটি মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের অধিকাংশ বিনিয়োগকারী গুজব সম্পর্কে অসচেতন। এছাড়া শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কেও অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর যথেষ্ট জ্ঞান নেই। কিন্তু তারা কম সময়ে অধিক মুনাফা প্রত্যাশী। যে কারণে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পায় কারসাজি চক্র।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, দেশের শেয়ারবাজারে ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের রহস্য উদঘাটনের প্রক্রিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। তাছাড়া ইনসাইডার ট্রেডিং রোধে কোনো পদক্ষেপই সুফল বয়ে আনতে পারে না। পাশাপাশি আগাম তথ্যগুলো অতি দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন। তাই কারা ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের সঙ্গে জড়িত তা বের করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। এছাড়া এ ধরনের লেনদেনে নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরাবরই উদাসীন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের নিজেদের স্বার্থেই এ লেনদেন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের লেনদেন থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মৌলভিত্তির কোম্পানিকে সবসময় প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করেন বাজার বাজার সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ারনিউজ২৪/এ/আআ/২০০৫ঘ.

0 comments:

Post a Comment