Saturday, 23 August 2014
Friday, 22 August 2014
Sunday, 23 February 2014
Friday, 21 February 2014
Wednesday, 19 February 2014
Monday, 17 February 2014
সুপারশপের ভ্যাট অর্ধেকে নামলো
ইত্তেফাক রিপোর্ট
সুপারশপের
পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ৪ শতাংশের
স্থলে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সুপারশপ
মালিকদের বহু দিনের দাবির প্রেক্ষিতে ভ্যাটের হার কমানো হলো। সম্প্রতি
এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা হিমায়িত খাদ্য, কাঁচা পণ্য বা নিত্যপণ্য বিক্রয় করেন এই সুবিধা তাদের জন্যই প্রযোজ্য। এছাড়া যে দোকানগুলো বিজ্ঞানসম্মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত, জীবাণুমুক্ত ও প্রিজারভেটিভবিহীন মাছ-মাংস, চাল-ডাল, শাক-সবজি, ফলমূলসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করে তারাও এ সুবিধা পাবে। একই জায়গায় সর্বাধিক ১২ হাজার বর্গফুট আয়তনের কোন স্বতন্ত্র ও পরিপূর্ণ দোকান এ ধরনের সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। সুপার মার্কেটগুলোকে এ জন্য ইসিআর মেশিন (ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার) বা পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমওএ) দীর্ঘদিন ধরে এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সুপারমার্কেটের ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা অন্য ব্যবসায়ীদের ন্যায় লেভেল প্লেইং ফিল্ড-এর অংশ হিসেবে প্যাকেজ ভ্যাট পদ্ধতি চালু করার পক্ষে দীর্ঘদিন থেকে এনবিআরে দেন-দরবার চালিয়ে আসছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যারা হিমায়িত খাদ্য, কাঁচা পণ্য বা নিত্যপণ্য বিক্রয় করেন এই সুবিধা তাদের জন্যই প্রযোজ্য। এছাড়া যে দোকানগুলো বিজ্ঞানসম্মত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত, জীবাণুমুক্ত ও প্রিজারভেটিভবিহীন মাছ-মাংস, চাল-ডাল, শাক-সবজি, ফলমূলসহ নিত্যপণ্য বিক্রি করে তারাও এ সুবিধা পাবে। একই জায়গায় সর্বাধিক ১২ হাজার বর্গফুট আয়তনের কোন স্বতন্ত্র ও পরিপূর্ণ দোকান এ ধরনের সুবিধার আওতাভুক্ত হবে। সুপার মার্কেটগুলোকে এ জন্য ইসিআর মেশিন (ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার) বা পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএমওএ) দীর্ঘদিন ধরে এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সুপারমার্কেটের ভ্যাট কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা অন্য ব্যবসায়ীদের ন্যায় লেভেল প্লেইং ফিল্ড-এর অংশ হিসেবে প্যাকেজ ভ্যাট পদ্ধতি চালু করার পক্ষে দীর্ঘদিন থেকে এনবিআরে দেন-দরবার চালিয়ে আসছিল।
স্বল্পমূল্যে সফটওয়্যার
বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের জন্য স্বল্পমূল্যে সফটওয়্যার তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাসফট।
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য অ্যাকাউন্টিং, পেরোল, ইনভেন্টরি বিষয়ক
সফটওয়্যার তৈরি ছাড়াও বাংলাসফট স্কুল-কলেজ, প্যাথলজির জন্যও সুলভে
সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। এসব সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় সব তথ্যই সংরক্ষণ করা
যাবে। ফোন :০১৯১২০১৩১৭০।
আলু বিক্রি হচ্ছে না,
এই অঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে এখন প্রতি মণ গ্রানোলা জাতের আলু মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ টাকা (প্রতি কেজি পৌনে দুই টাকা), কার্ডিনাল ও হল্যান্ড আলু ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও দেশি গোল আলু ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অথচ গত বছর প্রতি মণ গ্রানোলা, কার্ডিনাল ও হল্যান্ড আলু ৪০০ টাকায় এবং দেশি গোল আলু ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, আলুর দাম কমে যাওয়ায় তাঁদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। তাই তাঁরা এখন আর খেত থেকে আলু তুলতে আগ্রহী নন। অন্যদিকে, খেত থেকে আলু তুলতে না পারায় পরবর্তী ফসল বোরো ধানের আবাদও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কালাই উপজেলার কাটাহার গ্রামের কৃষক রাজু মিয়া বলেন, ‘১৮ বিঘা জমিত গ্রানোলা আলু লাগাচি। গতবার খ্যাতত থ্যাকেই ৪০০ টেকা মণ দরে আলু বেচিচি। এইবার আলু তুলে হাটত লিয়েও ব্যাচপার পারিচ্চি না।’
বগুড়ায় সবজির সবচেয়ে বড় মোকাম মহাস্থানহাটের আড়তদার জাহিদুল ইসলাম জানান, গতবার প্রতিদিন গড়ে ২০০ ট্রাক আলু কেনাবেচা হয়েছে। এবার প্রতিদিন গড়ে ২০ ট্রাক আলুও কেনাবেচা নেই।
বিক্রি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মহাস্থানহাটের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখনো প্রচুর পরিমাণ পুরোনো আলু রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দামও কম। এ জন্য এবার নতুন আলুর কদর কম।
একই কথা বলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচ এম বজলুর রশীদও। তাঁর মতে, এবার বগুড়া অঞ্চলে সবজির রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। ফলে সবজির দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় আলুর চাহিদাও এবার কিছুটা কম।
এদিকে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ২৭টি হিমাগারে এখনো প্রায় আট লাখ ৩৫ হাজার বস্তা পুরোনো আলু অবিক্রীত রয়েছে। গত মৌসুমে ১৯৩টি হিমাগারে দুই কোটি ৩০ লাখ বস্তা আলু রেখে চরম বিপাকে পড়েছিলেন উত্তরাঞ্চলের কৃষকেরা। বাজারদরে ধসের কারণে তাঁদের অনেকেই হিমাগারে রাখা আলু আর তোলেননি। সে জন্য ওই আলু ফেলে দিয়ে হিমাগার খালি করেছেন কোনো কোনো হিমাগারের মালিক।
বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রংপুর অঞ্চলের ২২টি হিমাগারে প্রায় সাড়ে সাত লাখ বস্তা এবং বগুড়ার পাঁচ হিমাগারে এক লাখ বস্তা আলু অবিক্রীত রয়েছে।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গতবার অনেক হিমাগার থেকে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আলু তুলতে না আসায় এসব ঋণ আদায় হয়নি। লোকসানের মুখে এবার হিমাগার চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বগুড়ার শাহসুলতান হিমাগারের মালিক আবদুল গফুর দাবি করেন, তাঁর চারটি হিমাগারে গতবার আড়াই লাখ বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হলেও এর বিপরীতে ভাড়া আদায় হয়নি।
আয় ও লভ্যাংশ বাড়লেও শেয়ারের দাম কমেছে
আগের বছরের চেয়ে আয় বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে ঘোষিত লভ্যাংশের হারও।
কিন্তু এই ঘোষণার পরও গতকাল সোমবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি লংকাবাংলা
ফিন্যান্সের দাম কমেছে।
গত রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ২০১৩ সালের সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। গতকাল এ ঘোষণা দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফিন্যান্স ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে বছর শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দেখানো হয়েছে চার টাকা ৫৮ পয়সা। ২০১২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৭৭ পয়সা। সেই হিসাবে ২০১৩ সালের আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির আয় ও লভ্যাংশ—উভয়ই বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন শেষে লংকাবাংলার প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৬৯ টাকা ৫০ পয়সায়। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম এক টাকা ২০ পয়সা কমেছে। যদিও এদিন প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট ঘোষণার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের দামের ওপর কোনো ধরনের মূল্যস্তর (সার্কিট ব্রেকার) আরোপিত ছিল না।
লভ্যাংশের পাশাপাশি কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। চলতি আর্থিক চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি অরূপান্তরযোগ্য জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ছাড়তে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
লংকাবাংলার শেয়ারের দামের মতো গতকালও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক কমেছে। আর ঢাকার বাজারে লেনদেন কমলেও চট্টগ্রামে কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে। এনিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস ডিএসইতে মূল্যসূচক কমল। সেই সঙ্গে লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার নিচে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৬ কোটি টাকা কম।
এদিকে ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া গতকাল প্রথমবারের মতো ডিএসই কার্যালয়ে গেছেন। এ সময় তিনি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ডিএসইতে অবস্থানকালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিক শেয়ারধারী পরিচালক সাক্ষাৎ করেন।
গত রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে ২০১৩ সালের সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য নগদ ও বোনাস মিলিয়ে মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। গতকাল এ ঘোষণা দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফিন্যান্স ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে বছর শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দেখানো হয়েছে চার টাকা ৫৮ পয়সা। ২০১২ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। ওই বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল এক টাকা ৭৭ পয়সা। সেই হিসাবে ২০১৩ সালের আর্থিক বছর শেষে কোম্পানিটির আয় ও লভ্যাংশ—উভয়ই বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল লেনদেন শেষে লংকাবাংলার প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯০ পয়সা বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৬৯ টাকা ৫০ পয়সায়। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম এক টাকা ২০ পয়সা কমেছে। যদিও এদিন প্রাতিষ্ঠানিক বা করপোরেট ঘোষণার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের দামের ওপর কোনো ধরনের মূল্যস্তর (সার্কিট ব্রেকার) আরোপিত ছিল না।
লভ্যাংশের পাশাপাশি কোম্পানিটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ৩০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। চলতি আর্থিক চাহিদা পূরণে কোম্পানিটি অরূপান্তরযোগ্য জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ছাড়তে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
লংকাবাংলার শেয়ারের দামের মতো গতকালও দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক কমেছে। আর ঢাকার বাজারে লেনদেন কমলেও চট্টগ্রামে কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৬৮৪ পয়েন্টে। এনিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস ডিএসইতে মূল্যসূচক কমল। সেই সঙ্গে লেনদেন নেমে এসেছে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার নিচে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৪৪ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৬ কোটি টাকা কম।
এদিকে ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া গতকাল প্রথমবারের মতো ডিএসই কার্যালয়ে গেছেন। এ সময় তিনি ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। ডিএসইতে অবস্থানকালে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিক শেয়ারধারী পরিচালক সাক্ষাৎ করেন।
Wednesday, 12 February 2014
Monday, 10 February 2014
তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশ অর্ধেকে
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত এ বাণিজ্য মেলা গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা থেকে এবার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে মাত্র ৮০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। গত বছর এটির পরিমাণ ছিল দ্বিগুণ, ১৫৭ কোটি টাকা।
মেলা চলাকালে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কয়েকটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মেলায় আসেনি। তা ছাড়া নাম আন্তর্জাতিক হলেও মেলার পরিবেশ হাট-বাজারের মতো হয়েছে। হকাররা যত্রতত্র পণ্য নিয়ে বসে হাঁটাচলায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন। আবার তাঁদের বিরামহীন হাঁকডাকেও বিরক্ত হয়েছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। তবে এসব দেখেও না দেখার ভান করেন আয়োজকেরা।
গতকাল বিকেলে মেলার শেষ দিন গিয়ে দেখা গেল, অন্যান্য দিনের চেয়ে লোকসমাগম বেশি। প্রবেশপথ, ভেতরের সরু সড়ক, স্টল, প্যাভিলিয়ন কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। তার পরও বাদামবিক্রেতা থেকে শুরু করে খেলনা, পুতুল, কাপড়সহ নানা পণ্য নিয়ে বসে গেছে শত শত হকার। আর এদের ঘিরে মানুষের জটলাও কম নয়।
সাবা জুট ক্রাফটসের রুমন হোসেন গত বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক মেলা। এখানে পণ্য প্রদর্শন করাই মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু ঘটনা উল্টো, কে কত বেশি বিক্রি করতে পারবে এখন সেই প্রতিযোগিতাই চলে। এক মাসেও বিদেশি ক্রেতার দেখা পাইনি।’ এ জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দেন তিনি।
অবশ্য মেলা ‘পরিপূর্ণ সফল’ বলেই দাবি করে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু। পরে রপ্তানি আদেশ কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতবার দেশের ভেতর ও বাইরের হিসাব করে টাকার পরিমাণ বলা হয়েছিল। আর এবার শুধু বিদেশিটা বলা হয়েছে।’ অভ্যন্তরীণটা ধরলে গতবারের কাছাকাছি হবে বলে দাবি করেন তিনি।
ইপিবির এই ভাইস চেয়ারম্যানের বক্তব্য, এবারের মেলা থেকে সরকারের দেড় কোটি টাকার মূল্য সংযোজন কর বা মূসক আদায় হয়েছে।
এদিকে রপ্তানি আদেশ বৃদ্ধি কিংবা মেলাকে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক রূপ দিতেও তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। কেবল পূর্বাচলে মেলার স্থায়ী বন্দোবস্ত ছাড়া। এটিও বছরের পর বছর আটকে আছে। আপাতত অনেক ক্রেতা সমাগম, বিক্রিবাট্টা ভালো এ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভবিষ্যতে পূর্বাচলে মেলা আয়োজনের আশ্বাস দিলেন। রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছিল। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ, তারপর ব্যবসায়ীরা। এত কিছুর পরও অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ৪২০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে এক হাজার ৪৬৮ কোটি ডলার। এটি সম্ভব হওয়ার কারণ দেশের ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট দক্ষ।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ। সবশেষে মেলায় অংশ নেওয়া ৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
Sunday, 9 February 2014
প্রবাসী-আয়ে বাংলাদেশ সপ্তম
এ
বছর উন্নয়নশীল দেশগুলো ৪১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী-আয়
হিসেবে পাবে বলে প্রাক্কলন করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি
পরিমাণ প্রবাসী-আয় আসবে ভারতে। বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুসারে এই পরিমাণ
হলো সাত হাজার ১০০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন, যেখানে ছয় হাজার
কোটি ডলারের প্রবাসী-আয় আসবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুসারে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী-আয় আসবে। প্রবাসী-আয়ের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
বিশ্বব্যাংকের ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ’ প্রতিবেদনে এসব প্রাক্কলন তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেন, ‘এই সর্বশেষ প্রাক্কলন প্রবাসী-আয়ের শক্তিমত্তারই প্রকাশ। তাজিকিস্তানের মতো দেশে জিডিপির অর্ধেকেই অবদান রাখছে প্রবাসী-আয়। বাংলাদেশে প্রবাসী-আয় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা দিচ্ছে। সাত হাজার ১০০ কোটি ডলারের বার্ষিক প্রবাসী-আয় নিয়ে ভারত এই তালিকার শীর্ষে আছে। ২০১২ সালে ভারত যে পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে, এটি তার মাত্র তিন গুণ কম।’
কৌশিক বসু আরও বলেন, ‘যখন পুঁজির প্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ তাতে ভারসাম্য আনতে বড় ভূমিকা রাখে। আবার যখন কোনো দেশের বিহিত মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন আবার প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বেড়ে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিতিশীলতা আনয়নের কাজ করে।’
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, যে কয়টি দেশে প্রবাসী-আয় তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও বেশি, তার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। এই তালিকায় শীর্ষে আছে তাজিকিস্তান, যার প্রবাসী-আয় রিজার্ভের তুলনায় ১৩৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ১২১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রবাসী-আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রবাসী-আয় তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও বেশি।’
এতে আরও বলা হয়েছে যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অভিবাসন ঘটেছে। আর তাই এটি সবচেয়ে বড় দক্ষিণ-দক্ষিণ অভিবাসন করিডরে রূপ নিয়েছে। ভারতে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি ও ছয় লাখ নেপালি অভিবাসী আছে।
তবে প্রবাসে কাজ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব দেশের শ্রমিকদের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ। এই তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে স্বল্প দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ পেতে একজন বাংলাদেশিকে এক হাজার ৯৮৫ ডলার থেকে তিন হাজার ৮৭০ ডলার ব্যয় করতে হয়। অথচ এই শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন হয় ২০০ ডলার।
তার মানে হলো, স্বল্প দক্ষ একজন বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রায় ১৪ মাসের বেতন যা হয়, তা ব্যয় হয়ে যায় কাজ পাওয়ার জন্য। অন্যদিকে হংকংয়ে গৃহকর্মীর কাজ পেতে একজন ইন্দোনেশীয় শ্রমিককে তার পাঁচ মাসের বেতন আর উপসাগরীয় কোনো দেশে নির্মাণশ্রমিকের কাজ পেতে একজন নেপালিকে তার ছয় মাসের বেতন ব্যয় করতে হয়।
প্রতিবেদনে ভারতে এবার প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে রুপির বড় ধরনের দরপতনকে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথম ৯ মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির দর কমেছে ২০ শতাংশ। ভারতে চলতি হিসাবের ঘাটতি যে চাপের মুখে পড়েছে, রুপির দরপতনে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বেড়ে তা অনেকটাই সহনীয় করে দেবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলন অনুসারে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী-আয় আসবে। প্রবাসী-আয়ের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
বিশ্বব্যাংকের ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ’ প্রতিবেদনে এসব প্রাক্কলন তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বলেন, ‘এই সর্বশেষ প্রাক্কলন প্রবাসী-আয়ের শক্তিমত্তারই প্রকাশ। তাজিকিস্তানের মতো দেশে জিডিপির অর্ধেকেই অবদান রাখছে প্রবাসী-আয়। বাংলাদেশে প্রবাসী-আয় দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা দিচ্ছে। সাত হাজার ১০০ কোটি ডলারের বার্ষিক প্রবাসী-আয় নিয়ে ভারত এই তালিকার শীর্ষে আছে। ২০১২ সালে ভারত যে পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে, এটি তার মাত্র তিন গুণ কম।’
কৌশিক বসু আরও বলেন, ‘যখন পুঁজির প্রবাহ দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ তাতে ভারসাম্য আনতে বড় ভূমিকা রাখে। আবার যখন কোনো দেশের বিহিত মুদ্রা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন আবার প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বেড়ে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিতিশীলতা আনয়নের কাজ করে।’
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, যে কয়টি দেশে প্রবাসী-আয় তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও বেশি, তার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। এই তালিকায় শীর্ষে আছে তাজিকিস্তান, যার প্রবাসী-আয় রিজার্ভের তুলনায় ১৩৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ হার ১২১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রবাসী-আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় প্রবাসী-আয় তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চেয়েও বেশি।’
এতে আরও বলা হয়েছে যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে বিপুল পরিমাণ অভিবাসন ঘটেছে। আর তাই এটি সবচেয়ে বড় দক্ষিণ-দক্ষিণ অভিবাসন করিডরে রূপ নিয়েছে। ভারতে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি ও ছয় লাখ নেপালি অভিবাসী আছে।
তবে প্রবাসে কাজ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব দেশের শ্রমিকদের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশ। এই তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে স্বল্প দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ পেতে একজন বাংলাদেশিকে এক হাজার ৯৮৫ ডলার থেকে তিন হাজার ৮৭০ ডলার ব্যয় করতে হয়। অথচ এই শ্রমিকের মাসিক গড় বেতন হয় ২০০ ডলার।
তার মানে হলো, স্বল্প দক্ষ একজন বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রায় ১৪ মাসের বেতন যা হয়, তা ব্যয় হয়ে যায় কাজ পাওয়ার জন্য। অন্যদিকে হংকংয়ে গৃহকর্মীর কাজ পেতে একজন ইন্দোনেশীয় শ্রমিককে তার পাঁচ মাসের বেতন আর উপসাগরীয় কোনো দেশে নির্মাণশ্রমিকের কাজ পেতে একজন নেপালিকে তার ছয় মাসের বেতন ব্যয় করতে হয়।
প্রতিবেদনে ভারতে এবার প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে রুপির বড় ধরনের দরপতনকে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বছরের প্রথম ৯ মাসে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুপির দর কমেছে ২০ শতাংশ। ভারতে চলতি হিসাবের ঘাটতি যে চাপের মুখে পড়েছে, রুপির দরপতনে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ বেড়ে তা অনেকটাই সহনীয় করে দেবে।
যাত্রী সুরক্ষায় অনুত্তীর্ণ ভারতের পাঁচ ছোট গাড়ি
যাত্রী সুরক্ষা পরীক্ষায় ভারতের বিভিন্ন মোটরগাড়ি কোম্পানির পাঁচটি ছোট গাড়ি অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
এগুলো হলো টাটা ন্যানো, মারুতি অল্টো-৮০০, হুন্ডাই-আই টেন, ফোর্ড-ফিগো ও ভোক্সওয়াগন-পোলো।
সম্প্রতি লন্ডনে আন্তর্জাতিক গাড়ি নজরদারি সংস্থা এনসিএপি বা নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট পোগ্রাম ভারতীয় মডেলের এসব গাড়ি পরীক্ষা করে।
পরীক্ষা শেষে বলা হয়, গাড়িগুলো যাত্রী সুরক্ষার দিক থেকে তত উন্নত নয়। তবে পরীক্ষাস্থলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা নিরাপত্তা আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেবেন।
এগুলো হলো টাটা ন্যানো, মারুতি অল্টো-৮০০, হুন্ডাই-আই টেন, ফোর্ড-ফিগো ও ভোক্সওয়াগন-পোলো।
সম্প্রতি লন্ডনে আন্তর্জাতিক গাড়ি নজরদারি সংস্থা এনসিএপি বা নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট পোগ্রাম ভারতীয় মডেলের এসব গাড়ি পরীক্ষা করে।
পরীক্ষা শেষে বলা হয়, গাড়িগুলো যাত্রী সুরক্ষার দিক থেকে তত উন্নত নয়। তবে পরীক্ষাস্থলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা নিরাপত্তা আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেবেন।
শেয়ারবাজারে দর সংশোধন
কাল ডিএসই'র সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার উদ্বোধন
ইত্তেফাক রিপোর্ট
শেয়ারবাজারে
গতকাল কিছুটা দর সংশোধন হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা সূচক বেড়ে ডিএসইএক্স
৫ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি চলে আসে। এরপর গতকাল রবিবার দর সংশোধন হয়েছে।
ঐদিন বেশিরভাগ কোম্পানির দর পতন হয়েছে। তবে লেনদেনে বড় মূলধনী
কোম্পানিগুলোর আধিপত্য থাকায় সূচক খুব একটা কমেনি।
তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল রবিবার ডিএসই'র ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৯৫ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা কম। লেনদেনকৃত ২৮৯টি কোমপানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের।
এদিকে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, লেনদেনে অসঙ্গতি তদারকির লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার চালু করতে যাচ্ছে ডিএসই। এদিন দুপুরে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করবেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি'র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। জানা গেছে, গত এক বছর ধরে সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এখন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এটি অস্বাভাবিক লেনদেন সনাক্ত করতে সক্ষম। এর কার্যক্রম চালু হলে বাজারে স্বচ্ছতা আগের তুলনায় বাড়বে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকদের অনেকের যোগ্যতায় ঘাটতি থাকায় আরও কয়েকজনের নাম জমা দেয়ার তাগিদ দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি'র এক নির্দেশনায় সিএসই স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আরো চার বা পাঁচজনের তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিএসই'র পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ১৪ জনের তালিকা বিএসইসিতে জমা দেয়া হয়।
তথ্যে দেখা গেছে, গতকাল রবিবার ডিএসই'র ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএস-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৬৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৯৫ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা কম। লেনদেনকৃত ২৮৯টি কোমপানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের।
এদিকে ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, লেনদেনে অসঙ্গতি তদারকির লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যার চালু করতে যাচ্ছে ডিএসই। এদিন দুপুরে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করবেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি'র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। জানা গেছে, গত এক বছর ধরে সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এখন এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এটি অস্বাভাবিক লেনদেন সনাক্ত করতে সক্ষম। এর কার্যক্রম চালু হলে বাজারে স্বচ্ছতা আগের তুলনায় বাড়বে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকদের অনেকের যোগ্যতায় ঘাটতি থাকায় আরও কয়েকজনের নাম জমা দেয়ার তাগিদ দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি'র এক নির্দেশনায় সিএসই স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আরো চার বা পাঁচজনের তালিকা পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিএসই'র পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে ১৪ জনের তালিকা বিএসইসিতে জমা দেয়া হয়।
Saturday, 8 February 2014
Wednesday, 5 February 2014
লা রিভের পোশাকে ছাড়
পোশাক
ও লাইফ স্টাইল ব্র্যান্ড লা রিভের পোশাকে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়
চলছে। লা রিভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফরমাল ও ক্যাজুয়াল উভয় ক্যাটাগরিসহ পুরুষ
ও নারীদের জন্য পোশাকে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চলছে। লা রিভে রয়েছে
ঋতু উপযোগী দারুণ সব পোশাকের বিশাল সংগ্রহ।
লা রিভের বিক্রয় বিভাগের প্রধান নাসরিন সুলতানা জানিয়েছেন, পাশ্চাত্যের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের জন্য উজ্জ্বল রং এর নিত্যনতুন ফ্যাব্রিক, কারচুপি, এমব্রয়ডারি ও সূচিশিল্পের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে লা রিভের সংগ্রহে। ভোক্তাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে আমরা পোশাকে ছাড় দিচ্ছি।
অফার চলাকালীন লা রিভ পোশাকগুলো পাওয়া যাবে বাংলাদেশে লা-রিভের সকল বিক্রয়কেন্দ্রে।
লা রিভের বিক্রয় বিভাগের প্রধান নাসরিন সুলতানা জানিয়েছেন, পাশ্চাত্যের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ছেলে-মেয়ে ও শিশুদের জন্য উজ্জ্বল রং এর নিত্যনতুন ফ্যাব্রিক, কারচুপি, এমব্রয়ডারি ও সূচিশিল্পের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে লা রিভের সংগ্রহে। ভোক্তাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে আমরা পোশাকে ছাড় দিচ্ছি।
অফার চলাকালীন লা রিভ পোশাকগুলো পাওয়া যাবে বাংলাদেশে লা-রিভের সকল বিক্রয়কেন্দ্রে।
Tuesday, 4 February 2014
চার দিন পর শেয়ারবাজারে মূল্য সংশোধন
টানা চার কর্মদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর আজ মঙ্গলবার নিম্নমুখী
প্রবণতা লক্ষ করা গেছে শেয়ারবাজারে। দিনের লেনদেন শেষে দেশের দু্ই স্টক
এক্সচেঞ্জের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে সূচকও কমেছে। একই
সঙ্গে লেনদেন সামান্য কমেছে দুই বাজারে।
বাজারের নিম্নমুখী এই প্রবণতাকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, টানা চার কর্মদিবস বাজার বাড়ছিল। এ অবস্থায় অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নেওয়ায় এই মূল্য সংশোধন হয় বাজারে।
ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮০৯ পয়েন্টে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক গতকালের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ডিএসইতে আজ ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৩টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে আজ ৭৭১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ৩৩ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৮০৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
সিএসইতে সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট
ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে।
সিএসইতে আজ ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৩টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে এক কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম
গতকালের মতো আজও ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউসিবিএল, যমুনা অয়েল, আইএফআইসি ব্যাংক, অ্যাপোলো ইস্পাত, ইউনাইটেড এয়ার, পদ্মা অয়েল, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, এনবিএল প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।
বাজারের নিম্নমুখী এই প্রবণতাকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, টানা চার কর্মদিবস বাজার বাড়ছিল। এ অবস্থায় অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নেওয়ায় এই মূল্য সংশোধন হয় বাজারে।
ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮০৯ পয়েন্টে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক গতকালের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচক বাড়ার হার কমতে শুরু করে, যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
ডিএসইতে আজ ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৩টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে আজ ৭৭১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ৩৩ কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৮০৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
সিএসইতে সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট
ডিএসইর পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। লেনদেন শেষে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ৫৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে।
সিএসইতে আজ ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৩টির দাম কমেছে। বেড়েছে ৮১টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ ৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে এক কোটি টাকা কম। গতকাল এই বাজারে ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম
গতকালের মতো আজও ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে ছিল মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। আজ এই প্রতিষ্ঠানের ২৯ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এ ছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ইউসিবিএল, যমুনা অয়েল, আইএফআইসি ব্যাংক, অ্যাপোলো ইস্পাত, ইউনাইটেড এয়ার, পদ্মা অয়েল, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, এনবিএল প্রভৃতি লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে।
Monday, 3 February 2014
বাণিজ্যমেলায় ওয়ালটন ফ্রিজের মডেলভেদে ১০ হাজার টাকা ছাড়
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় ফ্রিজের মডেলভেদে ১০ হাজার টাকা ছাড় দিয়েছে ওয়ালটন। ক্রেতার চাহিদা সামনে রেখে ৩০টিরও বেশি মডেল এবং ৬৫ কালারের ফ্রিজ মেলায় নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিশেষ করে বড় আকারের সাইড বাই সাইড ফ্রিজটি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। ফলে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে মেলায় সাইড বাই সাইড ফ্রিজে ছাড় দেয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মেলা থেকে কিনলে হোম ডেলিভারি এবং ফ্রি সার্ভিসও দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান মানোন্নয়ন এবং পণ্যের আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় যোগ হয়েছে ডব্লিউএসএস-৪এইচ৫ মডেলের এ ফ্রিজ। বিশ্বমানের ৪৮৫ লিটারের এ ফ্রিজটি এখন ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে। এর সাধারণ বাজার মূল্য ৭৯,৯০০ টাকা। মেলা উপলক্ষে ১০ হাজার টাকা কমিয়ে ৬৯ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে শিগগিরই সাইড বাই সাইড ফ্রিজ রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ আকরামুজ্জামান অপু জানান, গত বছর বাণিজ্যমেলায় ১৩৬ প্রকার পণ্য ছিল, এবার তা কয়েক গুণ ছাড়িয়ে গেছে। এবারের মেলায় ফ্রিজের ক্ষেত্রে মডেলভেদে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই অফারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ওয়ালটনের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের অপারেটিভ ডাইরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, ফ্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। গুণগত উচ্চমান অক্ষুণ্ন রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমে গেছে। যার ফেলে ওয়ালটন ফ্রিজ এখন সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। ওয়ালটনের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারও এখন ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারছে। উৎপাদন বৃদ্ধি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম আরও কমতে পারে। ওয়ালটনের জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজে শতভাগ কপার কনডেন্সার এবং ৮০ ভাগ এনার্জি সেভিং এলইডি ল্যাম্প ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় এ ফ্রিজের ডিপ অংশও অনেক বড়। ডিইসিএস প্রযুক্তির ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম।
ডিএসইর শরিয়াহ ইনডেক্স পুঁজিবাজারে যোগ করবে নতুন মাত্রা
বাংলাদেশে একটি বিশেষ ইসলামি বিনিয়োগ গোষ্ঠী পুঁজিবাজারকে ইসলামিক ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করে দেখতে চায়। এর মধ্যে যেমন রয়েছে শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, তেমনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সংগঠন যারা নিজেদের অলস পুঁজিকে ইসলামি কাটামোর মধ্যে থেকে পুুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে চায়। এটা তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি। এ ইনডেক্সের সুবিধা হলোÑ যারা শরিয়াহভিত্তিক লেনদেন বা বিনিয়োগ করে তারা মোট ইনডেক্স বা সুনির্দিষ্ট ইনডেক্স দেখে বিনিয়োগ করতে পারে না। কারণ তারা একটি নিজস্ব পোর্টফোলিও ধারণ করে। ওই পোর্টফোলিওর বাইরে তারা বিনিয়োগ করে না। তাই তাদের জন্য যদি নির্দিষ্ট কোনো ইনডেক্স থাকে, তাদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে সহায়ক হবে। এ ছাড়া সুদভিত্তিক পরিচালিত নয় এমন সব ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসব ইসলামিক ইনডেক্সের আওতাভুক্ত।
মুসলিম বিশ্বের বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরের এ দাবি বাস্তবায়নে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ইসলামি শরিয়াহ আইন পরিপালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি চালু করা হয় শরিয়াহ ইনডেক্স (সূচক)। এই সূচকের ভিত্তি ধরা হয়েছে এক হাজার পয়েন্ট আর ভিত্তি বছর হিসেবে ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে। তবে কোনো কোনো কোম্পানি এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত হবে তা জানানো হয়নি। ডিএসইর অন্য দু’টি সূচকের মতোই আন্তর্জাতিক সূচক গণনা প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপির তত্ত্বাবধানেই চালু করা হয় সূচকটি।
ইতোমধ্যে ডিএসই কর্তৃপক্ষ সূচকটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ইনডেক্স চালু হলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নানা কারণে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারছে না। যেসব কোম্পানি এ ইনডেক্সের আওতায় রয়েছে সেগুলোয় বিনিয়োগের বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাই ডিএসইর প থেকে দু’টি পদ্ধতিতে এসব কোম্পানিকে ইনডেক্সের আওতায় আনা হচ্ছে। এর একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট অর্থাৎ ব্যবসার ক্যাটাগরি, অন্যটি আর্থিক বিবেচনা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ ইনডেক্সে অংশগ্রহণ করতে চাইলে শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোয় বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় বিপুল উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে; কিন্তু ইসলামি প্রোডাক্টের স্বল্পতার কারণে আমাদের বাজারের প্রতি তারা আকৃষ্ট হয়নি। শরিয়াহ ইনডেক্স চালু হলে এ বাজারের প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, শরিয়াহ ইনডেক্সে এ পর্যন্ত ৭০টির ওপর কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। যেসব কোম্পানি ইসলামি শরিয়াহ অনুসরণ করছে, এদের ইনডেক্সের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে অ্যালকোহল, সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইনডেক্সের বাইরে থাকছে। যেসব কোম্পানি এ ইনডেক্সের আওতায় থাকছে, তাদের কোম্পানি পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে বা প্রোডাক্ট নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে বিনিয়োগকারীরা তা ডিএসইকে জানাতে পারবে। আমরা সে অভিযোগ শরিয়াহ বোর্ডকে অবহিত করব। শরিয়াহ বোর্ড তা পর্যালোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ দিকে নতুন এ ইনডেক্স চালু করায় দীর্ঘ দিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে সক্রিয় বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে সাধুবাদ জানান। এদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন সামরিক বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীও। এ ছাড়া রয়েছেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীও। রয়েছেন রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। সবার প্রতিক্রিয়া ছিল ইতিবাচক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবসরপ্রাপ্ত একজন সরকারি কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর প্রচলিত সুদের বাইরে সুদমুক্ত বিনিয়োগের একটি দরজা খুলে দিয়েছে ডিএসইর নতুন এ ইনডেক্স। এখন নির্দ্বিধায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। তা ছাড়া ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত হওয়ার কারণে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় থাকার সম্ভাবনা থাকবে বেশি।
একই মনোভাব প্রকাশ করলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাও। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন চাকরি করেই জীবিকা নির্বাহ করেছি। অবসরকালীন পাওয়া জীবনের সর্বশেষ অর্জনটি বিনিয়োগের একটি উপযুক্ত মাধ্যমের অপেক্ষায় ছিলাম। ডিএসইর এ উদ্যোগ আমাকে আশান্বিত করেছে। জীবনের শেষ দিনগুলোয় সুদমুক্ত বিনিয়োগই আমাকে মানসিকভাবে স্বস্তি এনে দিতে পারে
Sunday, 2 February 2014
বিনা ঘোষণায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা সঙ্গে রাখা যাবে
নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
দেশে আসার ও বিদেশে যাওয়ার সময় বিনা ঘোষণায় সঙ্গে নগদ টাকা রাখার সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন থেকে কেউ বিদেশে যাওয়ার সময় বা দেশে আসার সময় কোনো ঘোষণা ছাড়া সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা সঙ্গে রাখতে পারবে, যা আগে ছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা।
আইন অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রা সঙ্গে রাখতে হলে বিমান বা স্থল বন্দরে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা না দিয়ে সঙ্গে রাখার যোগ্য বাংলাদেশি কারেন্সির পরিমাণ এবং বিদেশে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি কারেন্সি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার পরিমাণ মাথাপিছু ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হলো।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি বিমান, ট্যাক্সিসহ যাতায়াত ভাড়া বেড়েছে। অনেকে বিদেশ থেকে দেশে আসার পরে তার গন্তব্য স্থলে যেতে অভ্যন্তরীণ রুটের বিমান ধরতে চান। কিন্তু ২ হাজার টাকায় এখন আর বিমান ভাড়া হয় না। অথবা ঢাকার বাইরে যেতেও ট্যাক্সি ভাড়া লাগে ২ হাজার টাকার বেশি। এছাড়া অনেককে একদিনে
বিদেশি বিনিয়োগে চড়ছে পুঁজিবাজার
আবদুর রহিম হারমাছি ও ফারহান ফেরদৌস,
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
তবে তারা কোনো কারণে চলে গেলে তা বাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে বলে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে আড়াই হাজার কোটি টাকার নিট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
এই অঙ্ক গত বছরের পুরো সময়ের চেয়েও প্রায় ২০০ কোটি টাকা বেশি। আর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি।
চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থ্যাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পুঁজিবাজারে ৩১ কোটি ডলারের (আড়াই হাজার কোটি টাকা) বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
২০১২-১৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এসেছিল ২৮ কোটি ৭০ ডলার। ২০১১-১২ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৪ কোটি ডলার।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহায়তাকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতিদিনই বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কিছু নতুন নতুন মুখ দেখতে পাচ্ছি।”
এতে আস্থা ফিরে পেয়ে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও বাজারমুখী হচ্ছেন এবং তার প্রভাবেই লেনদেনে সাম্প্রতিক চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
কী কারণে বিদেশি বিনিয়োগে প্রবাহ বেড়েছে- এই প্রশ্নে মনিরুজ্জামান বলেন, “ব্যাংক খাতের শেয়ারসহ মৌলভিত্তিক শেয়ারের দর অনেক কমে গিয়েছিল। এছাড়া বেশ কিছু দিন ধরে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারকে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছি।”
৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর দেশের দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক প্রায় ৩০০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এই সময়ে বাজারে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে যাওয়াকে সার্বিক অর্থে ইতিবাচক বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজ।
এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
মির্জ্জা আজিজও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের পুঁজিবাজারে ধস এবং টাকার বিপরীতে ডলারের শক্তিশালী অবস্থান বিদেশিদের আকৃষ্ট করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দর ছিল ৭৭ টাকা ৭৫ পয়সা।
গত দশ মাস ধরে এই একই জায়গায় ‘স্থির’ রয়েছে ডলারের দর।
অন্যদিকে ছয় মাসে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি প্রায় ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৬২ টাকা ০২ পয়সায়। গত বছরের জুন মাস শেষে এর দর ছিল ৫৯ টাকা ১০ পয়সা।
২০১৩ সালের অগাস্টে রুপির দাম বেড়ে এক পর্যায়ে ৬৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত উঠেছিল।
বিদেশি বিনিয়োগের উল্লম্ফনকে ইতিবাচক বললেও এই বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন মির্জ্জা আজিজ।
“একটা ঘটনা মনে রাখতে হবে, ১৯৯৭/৯৮ সালে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডে যে ধস নেমেছিল, তা কিন্তু এই মোবাইল (অল্প সময়ের জন্য যে বিনিয়োগ) বিদেশি বিনিয়োগের কারেণে ঘটেছিল।”
বাংলাদেশে এখন আসা এই অর্থকেও ‘মোবাইল’ বিনিয়োগ আখ্যায়িত করেন তিনি। অর্থাৎ ভালো মুনাফার লোভে কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে আসছেন।
যে কোনো কারণে বিদেশি বিনিয়োগের একটি অংশ চলে গেলেও যাতে বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে অথবা এটাকে ‘গুজব’ হিসেবে ব্যবহার করে কারসাজি করার সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে, সেজন্য সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিএসই, সিএসই, বিনিয়োগকারী সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মির্জ্জা আজিজ বলেন, “তারা (বিদেশি) যখন দেখবে- ডলারের দর কমে যেতে পারে অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতা আসন্ন, তখন তারা কিন্তু বিক্রি-টিক্রি করে আবার দ্রুত চলে যাবেন।”
তবে ডলারের দর কমার কোনো লক্ষণ না দেখার পাশাপাশি রপ্তানি আয়, রিজার্ভ ও রেমিটেন্স প্রবাহ ভাল থাকায় বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে হবে না বলে আশা করছেন তিনি।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে, যা আগের বছর ছিল ৮০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ১৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত বছরে এই বাজারে প্রায় ৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকার বৈদেশিক লেনদেন হয়। এর মধ্যে বিদেশিরা দুই হাজার ৬৫২ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন, বিক্রি করেছেন ৭০৯ কোটি টাকার শেয়ার।
এতে বছর শেষে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা; যা ২০১২ সালে ছিল ৭৯৩ কোটি টাকা।
১৯৮০ সালের ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রোটেকশন) আইনের আওতায় বিদেশিরা সহজ শর্তে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। পরে মুনাফা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ নেই।
মো. মনিরুজ্জামান
“আর বাজারের প্রতি যখন অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বাড়ে, তখন বিদেশিরা বিক্রি করেন। এখন সেটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।”
মির্জ্জা আজিজ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোনো দেশে সরকার বদলকে কেন্দ্র করে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়, তখন শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ে।
কারণ, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পুঁজিবাজারে। এই সুযোগটি কাজে লাগান বিদেশিরা।
“পরে যখন দাম বাড়ে, তখন তারা বিক্রি করে দিয়ে মুনাফা করেন,” বলেন এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক